মোল্লা হারুন উর রশীদ কুড়িগ্রাম
যোগদানের পর থেকেই কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যক্রমে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত সময় পার করছেন। পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, স্বাস্থ্য বিভাগ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করছেন। বর্তমানে জেলায় মহামারী করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, গতকাল পর্যন্ত জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩১ জন। হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন ৩১৬ জন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগ এ পর্যন্ত জেলায় ৪২৯ জন বিদেশ প্রত্যাগতের ঠিকানা ও অবস্থান চিহ্নিত করেছে। তবে জেলায় এখনো করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য জেলায় ৯টি সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ৪৭টি বেড এবং ৪১টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি ১৯টি চিকিৎসাকেন্দ্রে ২২০টি বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি/বেসরকারি মিলিয়ে ৯৯ জন ডাক্তার এবং ১৮৮ জন নার্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত আছেন। জরুরি ওষুধের মজুদও পর্যাপ্ত। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে পিপিই বিতরণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৯৫টি। বর্তমানে পিপিই মজুদ আছে ৭৮৯টি। মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫০০টি এবং মজুদ আছে ১ হাজার ৫০০টি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং বিস্তার রোধে জনসাধারণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও অন্যান্য বিভাগ থেকে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক। তিনি আরও জানান, এ পর্যন্ত জেলায় ৪৩ হাজার ৭০০টি পরিবারকে ৪৩৭ টন চাল এবং তৎসঙ্গে বরাদ্দকৃত ২০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয়ভাবে ৫ কেজি করে আলু, ২ কেজি মসুর ডাল, আধাকেজি লবণ ও ১টি সাবান ক্রয় করে ৭ হাজার ৩৭০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, পণ্য পরিবহনব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। এ ছাড়া নিত্যপণ্য যেমন চাল, ডাল, আটা, তেল, মসলা, সবজিসহ অন্যান্য কৃষিপণ্যের মূল্য সহনীয় আছে মর্মে জেলা বাজার অনুসন্ধানকারী ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আমাকে জানিয়েছেন। ৯টি এলএসডিতে খাদ্যশস্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আনসার বাহিনীসহ সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ, সামাজিক দূরত্ব প্রতিপালন, বাজার পরিস্থিতি মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থানে মাইকিং, হ্যান্ডবিল, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও বাজারদর স্থিতিশীল রাখা, সামাজিক নিরাপত্তা দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে প্রতিদিন একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলার বাসিন্দারা যাতে ঘরে থাকে এবং অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকে সে জন্য জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » তীব্র শীতে চরাঞ্চলবাসীর মুখে হাসি ফোটালেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার
- » কুড়িগ্রাম রাজারহাটে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডাঃ হামিদুর খন্দকারের গণসংযোগ।
- » কুড়িগ্রামে শিশু নির্যাতন ও বাল্য বিবাহ বন্ধে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের দক্ষতা বৃদ্ধি বিষয়ক ৩দিনব্যাপী ওরিয়েন্টশন শুরু
- » বাল্য বিবাহ ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ
- » রাজারহাটে গতকাল ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
- » কাউনিয়ায় অবরোধের নিউজ করায় সাংবাদিক সাইদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত
- » কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় স্টেক হোল্ডারদের সাথে সংলাপ
- » দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য কুড়িগ্রাম ২ আসনের নৌকার মনোনয়ন পত্র কিনেছেন কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদিকা মাহবুবা সুলতানা মিলা
- » ফুলবাড়ীতে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন ঘর নির্মানের উদ্ধোধন
- » বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়
Leave a Reply