শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলা শ্যামনগরে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা স্বত্তেও পৌরসভা বাস্তবায়নে এত জটিলতা কেন..? এ নিয়ে বিগত কয়েকমাস ধরে স্যোশাল মিডিয়া এবং জনমনে ব্যাপক তোলপাড়।
পৌরসভা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় ঝামেলা থাকে সীমানা নিয়ে আপত্তি ও যে ইউনিয়ন কে পৌরসভা ঘোষণা করা হয় সেই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যিনি ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার ভয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে স্থগিত করতে চান বাস্তবায়ন। আশ্চর্যজনক সত্য যে শ্যামনগর পৌরসভা বাস্তবায়নের দাবীতে সবচেয়ে বেশি উচ্চকণ্ঠ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাডঃ জহুরুল হায়দার, যিনি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেয়ে বরং আধুনিক নাগরিক সেবায় জনগণকে সুবিধা দিতে পৌরসভার দ্রুত বাস্তবায়ন চাইছেন।
আজ শ্যামনগরকে পৌরসভায় রুপান্তর নিয়ে তিনি প্রাসঙ্গিক একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন) সমূহ। এর মধ্যে একটি মফস্বল বা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বা উপজেলা সদরকে উপ শহরে পরিণত করা বা আধুনিক নাগরিক সেবা প্রদানে পৌরসভা সমূহ শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে। পৌরসভা বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকরা ব্যবস্থার শহর এলাকার সরকার এর মধ্যে নিম্ন স্তরের প্রশাসনিক এলাকা। পৌরসভা আইন ২০০৯ অনুযায়ী পৌরসভা গঠনের জন্য চারটি বৈশিষ্ট্য বা যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হবে।
১. তিন চতুর্থাংশ লোক অকৃষিজ পেশায় নিয়োজিত থাকে,
২. শতকরা ৩৩ ভাগ লোক অকৃষিজ পেশায় নিয়োজিত থাকে
৩. জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৫শত জনের বেশি হয় এবং
৪.ঐ এলাকার মোট জনসংখ্যা ৫০ হাজারের কম হবে না। এসকল শর্ত সমূহের ভিতর সকল শর্ত শ্যামনগর সদর পূরণ করে।অথচ কোন এক অজানা কারণে এত বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি দেশের বৃহত্তম উপজেলা সদর। ১৯৯৮ সালে এক জনাকীর্ণ জনসভায় তৎকালীন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান প্রথম ঘোষণা দিয়েছিলেন শ্যামনগর পৌরসভার। শ্যামনগর বাসী স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল। এর প্রায় এক যুগ পর ২০০৯ সালে নকিপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের বিশাল জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো ঘোষণা দিয়েছিলেন শ্যামনগর পৌরসভার। এবার আশায় বুক বেঁধেছিলাম শ্যামনগর বাসী। কিন্তু তৎকালীন সাংসদের অনাগ্রহ ও রাজনৈতিক কূট কৌশল এর ইন্ধনে কতিপয় জনপ্রতিনিধি উচ্চ আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছিল ক্ষমতা হাতছাড়া হওয়ার লোভে। দীর্ঘদিন আটকে আছে ফাইলবন্দী হয়ে পৌরসভা বাস্তবায়ন। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা নেই এখন। সবচেয়ে বড় কথা আমি সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জনস্বার্থে পৌরসভা বাস্তবায়নের পক্ষে,ক্ষমতায় আঁকড়ে ধরে বৃহত্তর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা আমার নেই। আমি চাই পৌরসভা বাস্তবায়ন। আধুনিক নাগরিক সেবায় আরো উন্নত হোক জীবনযাত্রার মান। চাই একটি আধুনিক শ্যামনগর। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প বিবেচনায় শ্যামনগর পৌরসভা বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার সচীব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তড়িৎ ভূমিকা আশা করছি। হয়ত সেদিন খুব দূরে নয় যেদিন স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি তো শুধু স্বপ্ন দেখিয়েই থেমে থাকিনা, স্বপ্ন পূরণে অবিরাম পথে হাটছি। আপনাদের সমর্থন কামনা করি।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এনা ট্রান্সপোর্ট (প্রা:) লি: আসন্ন রমজান উপলক্ষে অসহায় ও গরীব দু:খীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
- » শ্যামনগর সদর ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা ! রয়েল নিউজ
- » শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীতে গ্রাম আদালতের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- » শ্যামনগরে জেলা পরিষদের আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর
- » শ্যামনগরে রয়েল ভিশন ফাউন্ডেশনের শত পরিবারর মাঝে ইফতারি সামগ্রী বিতারন
- » আজকের এই দিনে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘটেছিলো ঘূর্ণিঝড় নামক আইলার তাণ্ডব
- » মুন্সিগঞ্জ বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ঘর নির্মানের পাইতারা
- » শ্যামনগর টেংরাখালীতে সরকারী জায়গায় মাঠের দাবী এলাকাবাসীর
- » শ্যামনগর গাবুরা নিজামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ভবনের বেহাল দশা, ঝুঁকিতে শিক্ষক শিক্ষার্থী
- » অবশেষে না ফেরার দেশে সাতক্ষীরার মুক্তামনি
go ahead