,

আমি মোল্লা হারুন উর রশীদ হাসপাতালের বেডে ৩ দিন থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি।

আমি মোল্লা হারুন উর রশীদ হাসপাতালের বেডে ৩ দিন থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমার জ্বর ও মাথা ব্যাথায় ভুগছি। হাসপাতালে শুয়ে লেখাটি লিখছি আমাকে যারা দোয়া করেছেন তাদের কাছে আমি ঋণী। আপনাদের দোয়ায় আজ আমি সুস্থ হওয়ার পথে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতাল ৮ম তলা ১৯ মাম্বার কেবিনে ভর্তি আছি।

১৯৮৯ সালে সাপ্তাহিক আনন্দদিন পত্রিকায় কিশোর বয়স থেকে সাংবাদিকতা শুরু। সম্পাদক ছিলেন বাকের হোসেন রানা। খবরের কাগজে সাংবাদদাতা নিয়োগ দেখে আমি সিভি পাঠালে তিনি আমাকে ঐ সময়ে আমার কাজের দক্ষতা দেখে একটি মিনি টেপ রেকর্ডার ও দুটি সংবাদ লেখা ও সাংবাদিকতার উপর দুটি বই পাঠান। যার মুল্য প্রায় ১ হাজারের এর উপর। আমি কিশোর মানুষ, টাকা পাবো কই? তখন পরিবারের থেকে বাজারে খরছের টাকা কেটে আব্বার কাছে বিভিন্ন ভাবে টাকা নিয়ে জমিয়ে আমি বই ও টেপ রেকর্ডার সংগ্রহ করি। আগেরকার দিনে কুড়িগ্রামে সাংবাদিকতা করা খুবেই কঠিন ছিলো! ১৯৮৯ সালে আমি বয়সে একবাবে কম থাকায় আব্বার ভয়ে সিনিয়র সাংবাদিকদের সামনে পরিচয় দিতে পারি নাই। আব্বা শহরের বড় ব্যবসায়ী হওয়ার তার পরিচিতি বেশি হওয়ার সাংবাদিকতা করতে আমার অনেক সমস্যা ছিলো। একদিন আব্বার এক বন্ধুর খবর ছাপিয়ে আব্বার হাতে মাইর খেয়েছিলাম। সাংবাদিকতার করার জন্য পারিবারিক ভাবে আমাকে হেমারিং হতে হয়েছিলো। তবুও এই পেশাকে শ্রদ্ধা রেখে আজও অব্দি লড়াই করে চলছি। সাধারণ মানুষের পাশে আাছি। আমি আজ কুড়িগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক চারিদিকে প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং নিজের মালিকানা প্রেসে পত্রিকা ছাপিয়ে আসছি। এছাড়াও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, এশিয়ান টিভি তে সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছি।
আমার এই আবেগময় লেখাটির কারণ আমার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতায় মানুষের মনে যে ভালোবাসার স্থান পেয়েছি সেটা এই অসুস্থতায় না পড়লে বুঝতাম না। সাংবাদিকতা হচ্ছে সমাজসেবা। সমাজের মানুষের পিছে ছুটতে ছুটতে লেখাপড়ার উচ্চ ডিগ্রী নিয়েও চাকুরী করতে পারি নাই। আমার ভাইয়েরা কেউ পুলিশ অফিসার, সেনা বাহীনির অফিসার, গ্যাস কোম্পানির অফিসার, কেউ প্রথম সারীর ঠিকাদার। আমি মানুষের পিছে পিছে চলছি তো চলছি। সবকিছুতেই গ্রুপিং সাংবাদিকতা কি রাজনীতি। কাজেই নিজেকে একটু গ্রুপিং থেকে পরিস্কার রাখার চেষ্টা রাখি মাত্র। আমি কারো সাত পাঁচে নাই। কাজেই সবখানে প্রিয় হতে পারি নাই। তবে জনগন আমাকে মনে প্রাণে ভালো বাসে।

প্রসঙ্গত- লেখাটি অসুস্থ হওয়ার আমার হৃদয়ে আদলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে লেখা। হাজার হাজার লোক ফোন করে আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন। অনেকে খাবার ফলমুল এনেছেন এমনকি মোবাইলে আমার ভক্তরা কান্নাকাটি করে দোয়াও করেছেন। আমি আপনাদের ভালোবাসায় এখন সুস্থ ইনশাআল্লাহ। আগামীকাল শনিবার রিলিজ হবো হাসপাতাল থেকে। ধন্যবাদ সকল কে। ধন্যবাদ কুড়িগ্রাম বন্ধু মহল, ভারত,আমেরিকা, সৌদিআরব, ইংল্যান্ড ও ঢাকা সহ সারাদেশ। সাংবাদিকরা মানুষের খবর নিতে নিতে নিজেই একদিন খবর হবে। শুধু হবে শোক সংবাদ।
তবে একালের সাংবাদিকতার মাঝে টক ঝাল মিস্টি আছে তো। তাই বৈষম্য থাকবে। চাটুকার মসনদ পাবে। মজলুম সয়ে যাবে। এটাই বাস্তবতা। তাই চাটুকার পরিহার করে ভালো সাংবাদিক খোঁজুন। তারাই একটি মডেল সমাজ উপহার দিতে পারবে। লেখাটি কাউকে খাটো করানোর জন্য লেখা হয়নি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



সম্পাদক প্রকাশক ও মুদ্রাকর
মোল্লা হারুন উর রশীদ কর্তৃক মোল্লা হারুন প্রিন্টিং প্রেস, সরদার পাড়া মোগলবাসা রোড কুড়িগ্রাম থেকে মুদ্রিত ও সরদার পাড়া মোগলবাসা রোড, কুড়িগ্রাম থেকে প্রকাশিত। ,
সম্পাদক মোবাইল ০১৭১২৫৯৩৮১৩
নিউজ ইমেইল:cp24bd@gmail.com
সহ :সম্পাদক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন
নির্বাহী সম্পাদক: রেদওয়ানুল হক দুলাল
মোবা: ০১৭১৫৩৮৫২৮৫
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মোল্লা হোমায়রা তাবাসসুম হিমা
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়- ইউ.এ.প্লাজা, শাপলা চত্বর, কুড়িগ্রাম।

উপদেষ্টা সভাপতি আলহাজ্ব পনির উদ্দীন আহম্মেদ এমপি কুড়িগ্রাম ২ আসন।
উপদেষ্ঠা সম্পাদক- মো: জাফর আলী, জেলা পরিষদ চেয়্যারম্যান ও সাবেক ,এম পি ও সভাপতি
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা ।উপদেষ্ঠা- এ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন, উপদেষ্ঠা- এ্যাডভোকেট মুহা: ফখরুল ইসলাম, উপদেষ্ঠা- আব্দুল জলিল, মেয়র কুড়িগ্রাম পৌরসভা
উপদেষ্ঠা- সাঈদ হাসান লোবান,উপদেষ্ঠা- আমান উদ্দীন আহম্মেদ (মনজু) সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা ও সদর উপজেলা চেয়্যারম্যান , কাজিউল ইসলাম । আলহাজ্জ মোস্তাফিজুর রহমান (সাজু) ১ নং পৌর যুগ্ন সাধারন সম্পাদক,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পৌর শাখা ,কুড়িগ্রাম।

Design & Developed BY zahidit.com