জাফর ইকবাল সাহেবের মেধা এবং যোগ্যতা নিয়ে কোন সংশয় নেই, স্কুল লাইফে আমি ও তার বই পড়ে তার ভক্ত হয়েছি, হারিয়ে গিয়েছি কোথাও। কিন্ত এই মানুষ থেকেই দেখেছি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিকৃত ইতিহাস করতে, উনিই আমাদের বিজয় দিবসের একটি লেখায় শহীদ জিয়াকে তাচ্ছিল্য করে স্টেটাস লিখেছিলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকাকে কোন ভূমিকাই মনে করেন নি, তার প্রত্যুত্তর হিসেবে আমি একটি বড় লেখা কাউন্টার পোস্ট করি।
আসলে একটি মেধাবী, উচ্চ শিক্ষিত মানুষ হবার কথা ছিল সার্বজনীন কিন্ত উনার বেলায় এটা কেন হলো?
এর কারন হলো উনি আওয়ামীদের পেইড বুদ্ধীজীবী, উনার মতো এক রোখা ভারতের প্রভুত্বকে মেনে নতজানু মানসিকতার জন্যই উনি আজ নিন্দিত। বাংলাদেশে লাগামহীন খুন, শিক্ষকদের মানববন্ধনের উপরে পুলিশের বর্বর এ্যাটাক এবং মানুষ হত্যা নিয়ে গত দশ বছরে এই লোকটি একটা কথাও মানবতার পক্ষে বলেন নি। অথচ উনার উপরে বিগত সময়ে হামলাকারীদের ও উনি বলেছেন “ছাত্রলীগকে ক্ষমা করে দিলাম ওরা অবুঝ”
অথচ এই অবুঝ বদরুলদের জন্যই দেশ আজ বিষিয়ে উঠেছে তাদের নিয়মিত গুম, খুন, ধর্ষনের জন্য, আওয়ামীলীগ বাদে বাকিরা যেন এই দেশে গনিমতের মাল তাদের কাছে। যে কোন দেশের জাতীয় সমস্যায় উনি শুধু দাড়ি টুপিওয়ালা দেখতে পান, ড: পিয়াস করিম যখন ইন্তেকাল করে তখন এদেরই সমগোত্রীয় একদল তার মৃত্যুকে নিয়ে ঘৃন্য উল্লাস করেছে, তাকে রাজাকার বলা হয়েছে, তার লাশ শহীদ মিনারে নিতে দেয় নি ঐ শুশিল জাফর সাহেবের ভক্তবৃন্দ আমরা কিছুই বলি নি কিন্তু ভুলে ও যাই নি।
আজো আমরা যে কোন গুম খুনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি, সহিংস আন্দোলনের পরিবর্তে আমরা অহিংস আন্দোলন করছি শুধু দেশের মানুষের ভালর জন্যই। জনগনের কাছে আজ স্পষ্ট কারা দেশের মঙ্গল চায় তাই তাদের ভোট দেবার অধিকারটুকু থেকে ও বন্চিত করা হয়েছে। আজকে দেশের গনতন্ত্রকে কবর দেওয়া হয়েছে শুধু মাত্র এই সব বুদ্ধীজীবীর কারনেই, তাদের মদদেই দেশ আজ বিভক্ত হয়ে আছে। দেশে যদি প্রকৃত আইনের শাসনই থাকতো তবে দেশে এই ধরনের গুম খুন হতো না, জাফর সাহেবের স্টেজে থাকা ছেলেটিই তাকে হত্যা করতে চেয়েছে এবং শেষে ঐ ছেলেটির সাথে আওয়ামীলীগেরই সম্পৃক্ততা পেয়েছে।
যে বা যারাই তার উপরে হামলা করেছে সেটা অবশ্যই ঘৃনিত কাজ, কারন কলমের জবাব কলমেই দিতে হয়, দেশে সুস্থ আইনের শাসন আসুক তবে দেশের শুধু পেইড বুদ্ধীজীবী কেন দেশের সাধারনরাও নিরাপদ হয়ে যাবে।
আমাদের দেশের দরিদ্র মানুষ গুলো দেশের সাথে বেইমানী করে না, ওরা লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে না, লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দেশের কোট টাই পরা ঐ ভদ্রলোক গুলোই, তাঁরাই দেশের সাধারন মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাই তারা হত্যা হলে কিংবা আক্রমনের শিকার হলে মানুষ খুশিই হয়। কারন সাধারন মানুষেরা আজ ঠিকই উপলদ্ধী করছে কে বা কারা দেশের গনমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই মনে রাখতে হবে এই ঘৃনা ও তাদের প্রতিবাদেরই একটি অংশ।
জাফর সাহেব হবার কথা ছিল সমগ্র দেশের, কিন্ত আফসোসের কথা হলো,আজ উনি শুধুই আওয়ামীলীগের সম্পত্তি শুধু মাত্র ওনার ম্যালা ফাইডি ইন্টেনশনের জন্যই।
কেন না একটা দরিদ্র মানুষ যখন নষ্ট হয়ে যায়, তখন তার পরিবার এবং তার এলাকার মানুষের উপর সেটার প্রভাব পরে, কিন্ত একটি উচ্চ শিক্ষিত নেতৃস্থানীয় লোক যখন নষ্ট হয়ে যায় টাকার কাছে পরাজিত হয়, তখনই সারাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. ডালিয়াকে কাউন্সিলরের ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন
- » কুড়িগ্রামের চিলমারীতে এনা ট্রান্সপোর্ট (প্রা:) লি: আসন্ন রমজান উপলক্ষে অসহায় ও গরীব দু:খীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
- » প্রধান মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা ভেলুর খামার বালিকা দাখিল মাদরাসাটি ৩৪ বছর আগে এমপিওভুক্ত হলেও ২৫ বছর হতে বেতন বন্ধ থাকায় শিক্ষক কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করেছে
- » মাদক ও সন্ত্রাস দমনের পাশাপাশি গণপরিবহনে চাঁদাবাজি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে জেলা পুলিশ
- » ঢামেকের ভাইরোলজি বিভাগে “সুরক্ষা সামগ্রী” দিল ‘ত্রিমাত্রিক-৩০ বিসিএস
- » কুড়িগ্রামে ঘোগাদহ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণার প্রকাশিত সংবাদের এলাকাবাসীর প্রতিবাদ
- » কুড়িগ্রামে জেলাব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন
- » কুড়িগ্রামে ১ম জাতীয় বীমা দিবস পালিত
- » কুড়িগ্রামে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপন বিভিন্ন কর্মসুচীর উদ্বোধন
- » বিএনপি এখন গুজব নির্ভর রাজনীতি করে চিলমারীতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী- খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি
Leave a Reply